নিজস্ব প্রতিনিধি: মণিরামপুরে বিধবার জমি দখল করে নেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী বিধবা নারী উপজেলার চালয়াহাটী ইউনিয়নের আটঘরা গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন। বর্তমানে দুই মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছে সুফিয়া খাতুন। এ বিষয়টি নিয়ে সুফিয়া খাতুন বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি।

জানা যায়, বিধবা সুফিয়া খাতুন ১০ বছর আগে স্বামী শহিদুল ইসলামকে হারান। স্বামীকে হারিয়ে সুফিয়া খাতুন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। বিধবা সুফিয়া খাতুন দুই মেয়েকে নিয়ে স্বামীর ভিটা ছেড়ে যশোর কোতয়ালীর সুজলপুর বাড়িতে বসবাস করছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর ওয়ারেশসূত্রে দুই মেয়ের পাওয়া(২০৫নং)আটঘরা মৌজায় বাড়ি ও মাঠের বিভিন্ন অংশে ৪৫ শতক ৮৫ পয়েন্ট জমি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখলের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে সুফিয়া খাতুনের দেবর আব্দুল লতিফ মন্টু।
গত ৩জানুয়ারি (বুধবার) দুপুরে বিধবা সুফিয়া খাতুন ওয়ারেশসূত্রে দুই মেয়ের (আটঘরা মৌজায়) বিভিন্ন অংশে পাওয়া ৪৫ শতক৮৫ পয়েন্ট জমি বুঝে নিতে সীমানা পিলার ও বাশেঁর বেড়া দিয়ে সেখানে সাইনর্বোড দিতে গেলে তাকে বাধাঁ দেওয়া হয়।
উল্লেখিত জায়গার দখল বুঝে পেতে ও বুঝে নিতে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত যশোর ১৪৪/১৪৫ ধারা জারী করেন। আদালতের রায়কে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে ও অমান্য করে আব্দুল লতিফ মন্টু ওই জায়গা দখলে নিতে বিভিন্ন অপপ্রয়াশ চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে আব্দুল লতিফ মন্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কারো জমি ফাকি দিচ্ছি না তারা যদি জমি পেয়ে থাকে তাহলে তাদের অংশ বুঝে নিক।
বিধবা সুফিয়া খাতুন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ও আমার দুই মেয়েকে নিয়ে বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় দিনযাপন করছি,স্বামীর রেখে যাওয়া জমি ফিরে পেতে সমাজের সূধীজন সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছি।